শৈলেন চৌনীর কবিতা
অন্নদামঙ্গল
১
শস্যের আয়াত ভাসে। কৃষকের বন্দনা গীত।
গাছে গাছে খিদে লেগে আছে,
তবুও মুঠোয় করে চারা হতে বুনেছি হাহাকার…
মন্ত্রের ভুলে আদিমতা উড়ে গেছে। নিজেদের পাপে।
আদিবাস?
হিংস্রতা ছাড়া আনিনি কিছুই —
গাছে গাছে বেঁচে আছে চমৎকার পতঙ্গবাহিনী।
মানুষের ফিরে যাওয়া দেখে
লালা দিয়ে ওরা আজ জাল ফেঁদে রাখে!
২
অন্নপূর্ণা মাগো, তোমার হাত।
কাছে টেনে নাও আজ ; গম্ভীর
মুখে আজ প্রণতি এই
প্রসন্ন ঘোড়া ও সহিস করে দাও…
নিরীহ প্রত্যয় মাগো—
জেগে আছে শস্যের গর্ভে
লাঙলের ফলাতে তোর স্বামী দিনরাত
খাটে অনাহারে…
৩
গুচ্ছমূলের ঈশ্বরী। ধান্যলক্ষী — তুমি, মাটির ক্ষুণ্ণতা বিলোলে বায়ুর জিহ্বাতে।বতরের রোদ কেড়ে কি অশ্লীল ছাপ! আলতার চেয়েও লাল, রক্তিম হল কৃষকের পিঠ। লাঙলের ক্রুরতা ও সংগম — হাড়ের মতো শুভ্র, স্থির হয়ে আছে লোকালয়ে। ললাটে তাঁর খরার লিখন।
সন্তাপ জেগে আছে যেন জোনাকির মতো আথানে বিথানে…
মহিমা অপার বিমুখ — বৃষ্টি হয়ে পড়ে, দুর্বিষহ। পৃথিবীর সব পাপ লেখা হয় লাঙলে লাঙলে!
ভালো হয়েছে।অনেকদিন পর পড়লাম তোমার কবিতা।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteখুব সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো পড়ে।
ReplyDeleteআমি আগেও তোমার কবিতা পড়েছি, এখনো পড়ি তোমার ভাই আমাকে তোমার লেখা কবিতা গুলো পাঠালে.. �� খুবই ভালো লাগে... মুগ্ধ হয়ে যায় মন। ☺️
ReplyDeleteথ্যাংকস।মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
Delete